গত ১০ই মে ২০২১ বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সাধারণ ছুটি বাড়ানোর নির্দেশনায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে মসজিদে জামাত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পরের হাত মেলানো পরিহার করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে-
১. ‘স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের নামাজের জামাত আদায়’ নিয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ইসলামী শরিয়তে ঈদগাহ বা খোলা জায়গায় পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের নামাজের জামাত আদায়ের ব্যাপারে উৎসাহিত করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমান করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিজনিত কারণে মুসল্লিদের জীবনের ঝুঁকি বিবেচনা করে এই বছর ঈদগাহ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে নিকটস্থ মসজিদে জামাত আদায় করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। প্রয়োজনে একই মসজিদে একাধিক জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
২. ঈদের নামাজের পূর্বে সম্পূর্ণ মসজিদ ভালোভাবে জীবাণুমুক্ত করে নিতে হবে। ঈদের জামাতে মুসল্লিরা নিজ নিজ জায়নামাজ নিয়ে আসবেন, মসজিদে কোন কার্পেট বিছানো যাবেনা।
৩. প্রত্যেকে নিজ নিজ বাসা থেকে অজু করে আসতে হবে এবং অজু করার সময় মিনিমাম ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত পরিস্কার করতে হবে। মসজিদে প্রবেশদ্বার এবং ওজুর স্থানেও হাত জীবাণুমুক্ত করতে সাবান অথবা হ্যান্ড-স্যানিটাইজারের ব্যাবস্থা রাখতে হবে।
৪. ঈদের জামাতে আগত সকল মুসল্লিকে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করে মসজিদে আসতে হবে এবং মসজিদে সংরক্ষিত টুপি ও জায়নামাজ ব্যবহার করা যাবে না।
৫. ঈদের জামাত আদায়ের সময় কাতার করার ক্ষেত্রে শারীরিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে কাতার করতে হবে। এক কাতার করার পর মাঝখানে এক কাতার পরিমাণ খালি রেখে পরের কাতার করতে হবে।
৬. শিশু, বৃদ্ধ এবং কোনো অসুস্থ ব্যক্তি কিংবা অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
৭. সর্বসাধারণের সুরক্ষায়, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।
৮. করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধ করতে মসজিদে ঈদের জামাত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো পরিহার করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।
৯. করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের নামাজ শেষে মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া করার জন্য খতিব ও ইমামদের অনুরোধ করেছে সরকার।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদের পরিচালনা কমিটিকে উল্লিখিত নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার জন্য অনুরোধ করেছে মন্ত্রণালয়।
এসব নির্দেশনা লঙ্ঘন হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
ঈদের নামাজ আদায়ের এসব নির্দেশনা সব বিভাগীয় কমিশনার, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, সব রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে পাঠানো হয়েছে।
সরকারকে অভিনন্দন এ কাজের জন্য।
It’s a very good decision for bd people.