তামিম ইকবাল খান, বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের বর্তমান অধিনায়ক। সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা অধিনায়কত্ব থেকে অবসর নেয়ায় ২০২০ সালের ৮ই মার্চ তিনি এই দায়িত্ব পান। যদিও সম্প্রতি শ্রীলঙ্কা সফরে তিনি তিন ম্যাচ অধিনায়কের ভূমিকা পালন করেন। তিনি আগেও অনেকবার সহ-অধিনায়কের ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি ২০১০ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ওই সময় আয়োজিত ২০১১ বিশ্বকাপে সাকিব আল হাসানের ডেপুটি ছিলেন। তামিম ইকবাল ১৯৮৯ সালের ২০ই মার্চ চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। এই বাঁহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মাধ্যমে, ২০০৭ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, তার ওডিআই ক্যাপ নং- ৮৩। ওই ম্যাচে তিনি ৮ বলে ৫ রান করেন। ওই বছরেই তার টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে। ২০০৭ সালের ১লা সেপ্টেম্বর কেনিয়ার বিপক্ষে নাইরোবিতে তার টি-টুয়েন্টি অভিষেক ঘটে, তার টি-টুয়েন্টি ক্যাপ নং-১৭ । ওই ম্যাচে তিনি ১২ বলে ২ চারের সাহায্যে ১১ রান করেন।
তামিম ইকবালের টেস্ট ক্রিকেটে পদার্পণ ২০০৮ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ডুনেডিনে, তার টেস্ট ক্যাপ নং-৫০। ৪-৮ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হওয়া ওই টেস্ট ম্যাচে তিনি প্রথম ইনিংসে ৮৮ বলে ৯ চারের সাহায্যে ৫৩ রানের একটি ঝলমলে ইনিংস খেলেন, এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ১২ চার ও একটি ছক্কার সাহায্যে ১২৮ বলে ৮৪ রানের আরোএকটি ঝকঝকে ইনিংস খেলে তার প্রতিভার স্বাক্ষর রাখেন। তামিম ইকবাল শেষ ওয়ানডে ম্যাচ খেলেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০২০ সালের ৬ই মার্চ সিলেটে, যে ম্যাচে তিনি ১০৯ বলে ১২৮ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। তিনি সর্বশেষ আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টি খেলেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৯ই মার্চ ২০২০ সালে মিরপুরে, ওই ম্যাচে তিনি ৩৩ বলে ৪১ রানের একটি ঝড়ো ইনিংস খেলেন। তিনি সর্বশেষ টেস্ট ম্যাচ খেলেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মিরপুরে, ২০২০ সালের২২-২৫ ফেব্রুয়ারি, ওই টেস্টে তিনি প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং করে ৪১ রান করেন।
পাঁচফুট আট ইঞ্চির মাঝারী গড়নের এই হার্ডহিটার বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দশহজার রানের মাইলফলক অতিক্রম করেন। বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে তিন ফরম্যাটে সেঞ্চুরি করার কৃতিত্ব অর্জন করেন তামিম ইকবাল। তিনি প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৬০০০ রানের মাইলফলক অর্জন করেন। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টিতে ১০০০ রানের মাইলফলক অর্জন করেন। দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে টেস্টে ৩০০০ ও একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৫০০০ রান করেন। তিনি যেকোনো এক ভেন্যুতে করা শ্রীলংকান লিজেন্ড সনাথ জয়সূরিয়ার ( কলম্বোর আর. প্রেমাদাসা স্টেডিয়াম) করা ২৫১৪ রানের রেকর্ড ভেঙে এক ভেন্যুতে (মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়াম) সর্বোচ্চ রানের অধিকারী হিসেবে নিজের নাম লেখান। ২০১১ সালে তিনি দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে উইজডেন বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটার নির্বাচিত হন। তামিম ইকবাল একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন ২০৭টি। যেখানে ২০৫ ইনিংস ব্যাটিং করে ১৩টি শতক আর ৪৭টি অর্ধশতকের মাধ্যমে ৩৬.৭৪ গড় এবং ৭৮.৬৮ স্ট্রাইক রেটে ৭২০২ রান সংগ্ৰহ করেন তিনি। তিনি এই রান করতে বল খেলেছেন ৯১৫৩টি, চার মেরেছেন ৭৮৩ টি এবং ছক্কা হাঁকিয়েছেন ৯১ টি। ওয়ানডেতে তার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান ১৫৮ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০২০ সালে।
তিনি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন ৬০ টি, যেখানে ১১৫ ইনিংস ব্যাটিং করে ৯টি শতক আর ২৭টি অর্ধশতকের মাধ্যমে ৩৮.৬৪ গড় এবং ৫৬.৪৮ স্ট্রাইক রেটের মাধ্যমে ৪৪০৫ রান করেন। এই রান করতে তিনি বল খেলেছেন ৭৭৯৮ টি, চার মেরেছেন ৫৫১ টি এবং ছক্কা হাঁকিয়েছেন ৩৫ টি। টেস্ট ক্রিকেটে তার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান২০৬, যেটি তিনি ২০১৫তে পাকিস্তানের বিপক্ষে করেছিলেন, এটি তার ক্যারিয়ারের একমাত্র দ্বিশতক। এই বামহাতি আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যান আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন ৭৮ টি, যেখানে ৭৮ ইনিংসে ব্যাটিং করে একটি শতক আর ৭টি অর্ধশতকের মাধ্যমে ২৪.০৮ গড় এবং ১১৬.৯৬ স্ট্রাইক রেটে ১৭৫৮ রান করেন। এই রান করতে তিনি বল খেলেছেন ১৫০৩ টি, চার মেরেছেন ১৮৮ টি এবং ছক্কা হাঁকিয়েছেন ৪৫ টি। আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টিতে তার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান ১০৩*, যেটি তিনি ২০১৬ টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে ওমানের বিপক্ষে করেন, যা আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টিতে এখনো বাংলাদেশের একমাত্র শতক। তিনি ওয়ানডে,টেস্ট ও আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টিতে ক্যাচ ধরেছেন যথাক্রমে ৫৪, ১৭ ও ১৮ টি। তামিম ইকবাল টেস্ট ক্রিকেটে শতক হাঁকিয়েছেন ৯টি, যার প্রথমটি আসে ২০০৯ সালে ওয়েস্টইন্ডিজের বিপক্ষে, যেটি ছিল তার ক্যারিয়ারের ১১তম টেস্ট ম্যাচ, ওই ম্যাচে তিনি ১২৮ রান করে দলের জয়ে বড় ভূমিকা পালন করেন এবং ম্যাচসেরার পুরস্কার লাভ করেন। তামিম ইকবালের ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট শতক আসে তার পরের বছর, অর্থাৎ ২০১০ সালে ভারতের বিপক্ষে, তার ক্যারিয়ারের ১৪তম ম্যাচে, যে ম্যাচে তিনি ১৫১ রান করেও দলের হার এড়াতে পারেন নি। ঐবছরই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তার ক্যারিয়ারের ১৮তম ম্যাচে “ক্রিকেটের মক্কা” খ্যাত লর্ডসে সেকেন্ড ইনিংসে অনবদ্য ১০৩ রান করে প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে লর্ডসের অনার্স বোর্ডে নিজের নাম লিখেন। ওল্ড ট্রাফোর্ডে ঠিক তার পরের টেস্টের প্রথম ইনিংসে আবারো শতক তুলে নেন, এবার খেলেছিলেন ১০৮ রানের আরো একটি ঝলমলে ইনিংস। তারপর বছর চারেক ছিলেন শতকবিমুখ। ২০১৪ এবং২০১৫ সালে টানা তিন টেস্টে তুলে নেন শতক, প্রথম দুটি ছিলো ২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নিজের ক্যারিয়ারের ৩৬ ও ৩৭তম টেস্টে। কাকতলীয় হলেও দুটো টেস্টেই তিনি ১০৯ রান করে আউট হন। পরের শতকটি আসে এর পরের বছর, তার ক্যারিয়ারের ৩৮তম টেস্টে খুলনায় পাকিস্তানের বিপক্ষে, যেখানে তিনি সেকেন্ড ইনিংসে অনবদ্য ২০৬ রান করেন, যা তার ক্যারিয়ারের প্রথম ও একমাত্র দ্বিশতক। ওই ইনিংসের ফলে বাংলাদেশ টেস্টটি ড্র করতে সক্ষম হয় এবং তিনি ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন।ওই টেস্টে তিনি ইমরুল কায়েসকে নিয়ে ৫৬ বছরের পুরনো রেকর্ড ভেঙে দেন, উদ্বোধনী জুটিতে তারা সংগ্ৰহ করেন ৩১২ রান, যার ফলে তারা টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৯৬০ সালে কলিং কাউদ্রে এবং জিওফ পুলারের করা ২৯০ রানের রেকর্ড ভেঙে দিতে সক্ষম হন। তার পরবর্তী শতক আসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে, তার ক্যারিয়ারের ৪৪তম টেস্টে, যে ম্যাচে তিনি ১০৪ রান করেন এবং ঐ টেস্ট বাংলাদেশ আড়াই দিনেই জিতে নেয়, যে জয় বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসে এক মাইলফলক। তামিম ইকবাল তার ক্যারিয়ারের সর্বশেষ ও নবম টেস্ট শতক হাঁকান ২০১৯ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে, ঐ ম্যাচে তিনি ১২৬ রান সংগ্রহ করেন। পড়ে আসতে পারেনঃ বাংলাদেশ ক্রিকেটের স্টাইলিশ ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকার
তামিম ইকবালের ওডিআই শতক মোট ১৩ টি। তার প্রথম শতক আসে তার ক্যারিয়ারের ২৮তম ম্যাচে ২০০৮ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে, ওই ম্যাচে তিনি ১২৯ রান করে দলের জয়ে ভূমিকা পালন করেন। তার দ্বিতীয় শতক আসে ২০০৯ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, ওটি ছিল তার ক্যারিয়ারের ৬০তম ম্যাচ, ওই ম্যাচে তিনি ১৫৪ রান করে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং চার্লস কভেন্ট্রির সাথে যুগ্মভাবে ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন। তার ওই রান ছিল ওডিআইতে বাংলাদেশি কোনো ব্যাটসম্যানের করা তৎকালীন সর্বোচ্চ রান। তার তৃতীয় শতক আসে ক্যারিয়ারের ৭৪তম ওডিয়াইতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে২০১০ সালে, যে ম্যাচে তিনি ১২৫ রান করেও দলের পরাজয় রুখতে পারেননি। তার ক্যারিয়ারের চতুর্থ শতক আসে তার ১১৯তম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০১৩ সালে, যে ম্যাচে তিনি ১১২ রান করেন। তিনি তার ক্যারিয়ারের পঞ্চম এবং ষষ্ঠ শতক তুলে নেন পরপর দুই ম্যাচে, পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০১৫ সালে নিজের ১৪২ ও ১৪৩তম ম্যাচে তিনি যথাক্রমে ১৩২ ও ১১৬* রান করেন। উভয় ম্যাচেই বাংলাদেশ জয়লাভ করে, ওই সিরিজে প্রথমবারের মত পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ এবং তামিম ইকবাল সিরিজ সেরা নির্বাচিত হন। তিনি তার ক্যারিয়ারের সপ্তম শতক তুলে নেন আফগানিস্তানের বিপক্ষে২০১৬ সালে তার ক্যারিয়ারের ১৫৬তম ম্যাচে, ঐ ম্যাচে তিনি ১১৮ রান করে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তামিম ইকবাল তার ক্যারিয়ারের অষ্টম শতক হাঁকান শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে, ঐ ম্যাচে তিনি ১২৭ রান করেন।
তিনি তার ক্যারিয়ারের নবম শতক হাঁকান ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে, ওই ম্যাচে তিনি ১২৮ রান করেন, যদিও ম্যাচটি বাংলাদেশ হেরে যায়। তিনি দশম শতক হাঁকান ২০১৮ সালে ওয়েস্টইন্ডিজের বিপক্ষে, ঐ ম্যাচে তিনি ১৩০ রানে অপরাজিত থাকেন, যেটা বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে ধীরগতির শতক(১৪৬বল)।ঐ ইনিংসের সুবাদে তিনি ম্যাচসেরা হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। তামিম ইকবাল তার ক্যারিয়ারের ১১তম শতক তুলে নেন ঠিক তার একটি ম্যাচ পরেই, সিরিজের শেষ ম্যাচে তিনি ১০৩ রান করেন এবং আবারো ম্যাচসেরা হন। তামিম ইকবালের ১২তম শতক আসে ২০২০ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে, ঐ ম্যাচে তিনি ১৫৮ রান করে পূর্বে করা নিজের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের রেকর্ড নিজেই ভেঙে ফেলেন (রেকর্ডটি যদিও এক ম্যাচের বেশি স্থায়ী হয় নি, ঠিক তার পরের ম্যাচেই লিটন দাস ১৭৬ রান করে রেকর্ড ভেঙে দেন) । ঐ ম্যাচে তামিম ইকবাল ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন। তামিম ইকবালের ১৩তম শতক আসে ঠিক তার পরের ম্যাচেই, যেটি ছিল আবার তামিম ইকবালের খেলা সর্বশেষ ওডিআই ম্যাচ। ওই ম্যাচে তিনি ১২৮ রান করেন।
তামিম ইকবালের একমাত্র আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টি শতক আসে ২০১৬ টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে ওমানের বিপক্ষে, ওই ম্যাচে তিনি ১০৩ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচসেরা হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। যেটা এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের একমাত্র টি-টুয়েন্টি শতক। তামিম ইকবাল বর্তমানে ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে ২৪তম, টেস্টে ২৭তম এবং টি-টুয়েন্টিতে ৫০ তম স্থানে অবস্থান করছেন। তামিম ইকবাল ক্রিকেট বিশ্বে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র, পরিচিত মুখ।তিনি তার ক্যারিয়ারের ভালো সময় যেমন দেখেছেন, খারাপ সময়ও দেখেছেন। দুসময়কে পিছনে ফেলে প্রতিবার ফেরত এসেছেন বীরের বেশে। ২০০৭ বিশ্বকাপে জহির খানকে ডাউন দ্যা উইকেটে এসে মারা ছক্কা কে বা ভুলতে পারে? কিংবা ২০১২ এশিয়া কাপে পরপর চারটি অর্ধশতক, যা বাংলাদেশ ক্রিকেটের বড় রেকর্ড। ২০১৫ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার পথে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে তামিম ইকবালের ৯৫ রান বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয়ের ভীত গড়ে দিয়েছিল। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তার ৯৫ রান আমাদের মান বাঁচিয়েছে। যখনই দলের প্রয়োজন হয়েছে তখনই ব্যাটকে তরবারি বানিয়ে নিজে দাড়িয়ে গিয়েছেন ঢাল হয়ে, কখনো পেরেছেন কখনো পারেননি, তবুও বাংলাদেশ ক্রিকেটে তামিম ইকবাল এক গৌরবময় ইতিহাস। দেশসেরা ওপেনার থেকে বিশ্বসেরা হওয়া সময়ের ব্যাপার, অপেক্ষা শুধুই সময়ের। আশা করব প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ওডিআইতে দশহাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলবেন
[…] ফলাফলঃ জিম্বাবুয়ে ১৩ রানে জয়ী এমন একজন ব্যক্তি যদি থাকেন যিনি বাংলাদেশের কার্ডিফের অবিশ্বাস্য জয়ের পরে কী অনুভূত হয়েছিল বুঝতে পারেন তিনি হলেন একমাত্র ডানকান ফ্লেচার ! ১৯৮৩ সালে ট্রেন্ট ব্রিজের বিশ্বকাপ ফ্লেচারের জিম্বাবুয়ে তাদের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে, বিশ্বকাপের প্রথম খেলায় অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে পুরো বিশ্বকে হতবাক করে দিয়েছিল। যেই মুহূর্তে জিম্বাবুয়ের ইনিংসটি ধস নেওয়ার দ্বারপ্রান্তে ঠিক তখনি ফ্লেচার মাঠে প্রবেশ করেন এবং ৬৯ রান করে দলকে শক্ত অবস্থানে নিয়ে যান। । জবাবে অস্ট্রেলিয়া কোন উইকেট না হারিয়ে ৬১ রান দিয়ে শুভ সূচনা করে। কিন্তু ঠিক সেই সময়ে আবার ফ্লেচার ফিরে এসে অস্ট্রেলিয়ান চারটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট শিকার করেন। যার উপর ভিত্তি করে রচিত হয় সেই ঐতিহাসিক জয়! অসামান্য অবদানের জন্য ডানকান ফ্লেচার ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন। বাংলাদেশের অন্যতম ব্যাটসম্যন তামিম ইকবাল সম্পর্কে জানতে দেখুনঃ নির্ভরতার আরেক নাম তামিম ইকবাল […]