Home Blog Page 2

ওজন কমানোর সহজ উপায়!

0
10 Tips for Weight Loss
Photo: Britannica

আমরা অনেকেই জানি যে, শরীরের বাড়তি ওজন ডায়াবেটিকস, উচ্চ রক্তচাপসহ আরো বহুবিধ রোগের সাথে সম্পর্কিত। তাই শরীরের বাড়তি ওজন কমানো নিয়ে অনেকেই চিন্তিত থাকেন। আসুন জেনে নেয়া যাক কিছু নিয়ম, যা অনুসরণ করে আমরা আমাদের শরীরের বাড়তি ওজন কমিয়ে সুস্থ থাকতে পারি।

১. ওজন কমাতে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যকর খাবার

প্রোটিন জাতীয় খাবার আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। প্রোটিন দুই ধরণের। প্রাণীজ প্রোটিন এবং উদ্ভিজ প্রোটিন। প্রাণীজ প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারগুলো হচ্ছে- মাছ, মাংস, ডিম, দুধ ইত্যাদি। উদ্ভিজ প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারগুলো হচ্ছে- ছোলা,ডাল,বাদাম, কিশমিশ, খেজুর ইত্যাদি।

এছাড়া নিয়মিত প্রচুর পরিমানে শাক-সবজি এবং ফলমূল খেতে হবে। সকল ধরণের শাক-সবজি, ফলমূল মিনারেল এবং ভিটামিনের আদর্শ উৎস। তাছাড়া আঁশজাতীয় খাদ্য হওয়াতে ক্যান্সার কোষ ধ্বংসেও সহায়ক। ওজন কমাতে এই খাদ্যগুলো আদর্শ।

২. ওজন কমাতে যে খাবারগুলো বর্জনীয়

সকল ধরণের মিষ্টি জাতীয় খাবার ওজন বাড়াতে সহায়ক । বাইরে তৈরি সকল প্রকার ফাস্টফুড, এনার্জি ড্রিংকস, কোমল পানীয় এবং তৈলাক্ত খাবার (সিঙ্গারা, সমুচা, আলুর চপ, বেগুনী ইত্যাদি) অবশ্যই পরিহার করতে হবে।

খাবার অল্প পরিমানে খেতে হবে এবং খাওয়ার সময় তাড়াহুড়ো না করে ধীরে খেতে হবে। ওজন কমাতে চাইলে খাবারে ভাতের পরিমাণ কমিয়ে বেশী করে সবজি খেতে হবে।

. আপেল সিডার ভিনেগার

আপেল সিডার ভিনেগার বা সিডার ভিনেগার হল ভেজানো আপেলের রস থেকে তৈরী ভিনেগার। এটি নিয়মিত পান করার অভ্যাস আপনাকে ওজন কমানোতে সহায়তা করবে। আপেল সিডার ভিনেগার পান করার নিয়ম হচ্ছে- প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে এক চা চামচ আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে খেতে হবে। আপনি চাইলে সাথে লেবুর রসও মিশিয়ে নিতে পারেন।

৪. প্রচুর পরিমানে পানি পান করা

আমরা অনেকেই পানি পান করতে চাইনা অথবা এই ব্যাপারে উদাসীন। দৈনিক আমাদের দুই থেকে তিন লিটার পানি পান করতে হবে। পানি আমাদের কিডনীকে সচল রাখে এবং ওজন কমায়। সাথে ব্লাক কফি এবং গ্রী টি খাওয়া যায় তবে অবশ্যই চিনি ছাড়া হতে হবে। গ্রী টিও ওজন কমাতে বিশেষ ভুমিকা রাখে।

. গ্রিন টি পান করা

ওজন কমানোর জন্য গ্রিন টি খুবই কার্যকর। নিয়মিত গ্রিন টি পানের অভ্যাস আপনার ওজনকে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় আনতে ভালো ভুমিকা রাখবে। গ্রিন টি পান করার চারটি উত্তম সময় হল- সকালে নাস্তার পরে, ব্যায়াম করার আগে, রাতে ঘুমাতে যাওয়ার ঘন্টা দুয়েক আগে, খাবারের আগে অথবা পরে। তবে খাবার গ্রহণের আগে অথবা পরেই পান না করে খাবার গ্রহণের ৪৫ মিনিট আগে অথবা খাবার গ্রহণের ৪৫ মিনিট পরে পান করা উত্তম।

৬. পর্যাপ্ত ঘুম

ওজন কমাতে চাইলে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুমাতে হবে। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের প্রতিদিন গড়ে ৭ থেকে ৯ ঘন্টা ঘুমাতে হবে। দিনের বেলার ঘুম বর্জন করতে হবে, রাতে ১২ টার আগেই বিছানায় যাওয়া উত্তম।

. নিয়মিত শরীরচর্চা

সুস্থ থাকতে এবং ওজন কমাতে নিয়মিত শরীরচর্চার কোন বিকল্প নেই। অনেকেরই হয়তো জিমে গিয়ে শরীরচর্চা করার সুযোগ হয়ে উঠে না। সেক্ষেত্রে নিয়ম করে দিনের যেকোন একটা সময় ঘরে হালকা ব্যায়াম অথবা ৪৫ মিনিট থেকে এক ঘন্টা হাঁটাহাঁটি করা যেতে পারে। লিফট ব্যবহার না করে সিঁড়ি ব্যবহার করা যেতে পারে।

. রোজা

রোজা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং ওজন কমাতে খুবই কার্যকর। তাই বেশী পারা না গেলেও সপ্তাহে কমপক্ষে দুইটি (সোম এবং বৃহস্পতিবারে)রোজা রাখার অভ্যাস করা যেতে পারে। রোজা ওজন কমানোতে খুবই কার্যকর ।

ওজন কমানোর জন্য নিয়মিত সঠিক সময়ে খাবার খাওয়া অত্যন্ত জরুরী। সকালের খাবার ৯টার আগে, দুপুরের খাবার ২টার আগে এবং রাতের খাবার ৯টার আগে খেয়ে নিতে হবে। রাতের খাবার পর কমপক্ষে পনের মিনিট হেঁটে নেয়ার অভ্যাস করতে হবে। যেকোন খাবার গ্রহণের আগে পানি পান করে নিতে হবে এবং খাবার মাঝখানে পানি পান না করাই উত্তম। এই অভ্যাসগুলো তৈরী করতে পারলে সহজেই ওজন কমানো সম্ভব।

সাজেক ট্যুরের ইতিবৃত্ত – ঢাকা টু সাজেক

0
ঢাকা টু সাজেক

আমরা ছিলাম ১২ জন, ৩ দিন ৪ রাতের ট্যুর। আগেই বলে রাখি, সাজেক যেতে চাইলে ১২ জনই পারফেক্ট, ১৪/১৫ জন বা ৮/১০ হলে খরচ বাড়বে। সাজেক ট্যুরের কিছু আছে বড় এমাউন্টের ফিক্সড কস্ট (খরচ), চান্দের গাড়ি/জিপ ভাড়া তার মধ্যে একটা। জিপের ভাড়া ফিক্সড, চাই ২ জন হোক বা ১২ জন হোক। ভাড়ার ব্যাপারে পরে বলতেছি। ট্যুরের বুধবার রাত (১৮-০৯-২০১৯) Saint Martin Paribahan এ রাত ১১ টায় আমরা বাসে উঠি খাগড়াছড়ির উদ্দেশ্যে। বাসের টিকিট আমরা ৪ দিন আগেই কেটে রাখছিলাম।
উল্লেখ্য, টিকিট আগে থেকে কেটে না রাখলে যাওয়ার দিন ইন্সট্যান্ট টিকিট পাওয়ার পসিবিলিটি কম, তাই ৪/৫ দিন আগেই টিকিট কনফার্ম করা উচিত। আর একটা বিষয়, যাওয়ার আগেই আসার টিকিট বুকিং করার ব্যাপারটা মাথায় রাখতে হবে, আমরা যাওয়ার টিকিটের সাথে আসার টিকিট ও কনফার্ম করে রাখছিলাম।

১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার রাত ঠিক ১১ টায় কলাবাগান থেকে আমাদের যাত্রা শুরু হয়। চট্রগ্রামের মিরসরাই পার হয়েই শুরু হয় পাহাড়ি রাস্তা, হরর মুভির জঙ্গলের মত ভয়ানক সুন্দর রাস্তা বললে কম হবে না (সারারাত জেগে ছিলাম বলে এটা মিস করিনি)। খাগড়াছড়ি শহরে পৌঁছায় সকাল ৬ টা নাগাদ। বাস আমাদেরকে শাপলা চত্বরে নামায়, যেখানে চান্দের গাড়ির কাউন্টার। আর ওটাই লাস্ট স্টপেজ। আর যদি বাস শাপলা চত্ত্বর না যায় তবে ওদের কাউন্টারের সামনে নামাবে, ওখান থেকে হেটে শাপলা চত্ত্বর যেতে হবে, মাত্র ৩/৪ মিনিট এর রাস্তা।

বাস থেকে নেমেই চান্দের গাড়ির কাউন্টারে চলে যাই আমরা। ২ রাত সাজেক + আলুটিলা গুহা + রিচাং ঝড়না + ঝুলন্ত ব্রিজ + তারেং এর প্যাকেজের জন্য চান্দের গাড়ি রিজার্ভ করে নিই। রিজার্ভ কনফার্ম করে পাশে হোটেলে যেয়ে ফ্রেশ হয়ে ব্রেকফাস্ট করে আবারো গাড়ির কাউন্টারে চলে আসি ৮ টার দিকে। আমাদের নিয়ে রিজার্ভ করা চান্দের গাড়ি রওনা হয় ৮.১৫ এ। খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক ৭৫ কিলোমিটার। মাঝে ৩ জায়গায় বিজিবি চেকপোস্টে এন্ট্রি করতে হয়। যাওয়ার পথে বাঘাইছড়ি নামক জায়গায় যেয়ে সব গাড়ি/সিএনজি কে বাধ্যতামূলক ভাবে দাঁড়াতে হয়, সকাল ১০.৩০ এর মধ্যে যত জিপ বা সিএনজি বাঘাইছড়ি পৌঁছাবে সেসব গাড়িগুলোকে নিরাপত্তা জনিত কারণে সামনে ও পিছনে প্রটেকশন দিয়ে পুলিশ বা আর্মি সাজেক পর্যন্ত পৌঁছায় দেয়।

 

আমরা বাঘাইছড়ি পৌঁছায় ১০ টারও আগে। বাকি সময়টা ওখানে খাওয়া দাওয়া আর গল্পের মধ্যেই পার করি। ১০.৩০ এ আর্মি প্রটেকশনে আবারো যাত্রা শুরু, ঠিক ১২.১৫ এ আমরা পৌঁছে যায় বহুল আকাঙ্ক্ষিত মেঘের দেশ সাজেক ভ্যালি। সাজেক ভ্যালি যাওয়ার পাহাড়ি উঁচু নিচু রাস্তা সম্পর্কে যাই বলি না কেনো কম হয়ে যাবে, যে যায়নি সে বুঝবে না, চোখে দেখা আর মুখে শুনা বা লেখা পড়ে বুঝা কখনোই সমান না; এজন্যই আমার সমুদ্র থেকে পাহাড় বেশি ভাল লাগে। যাক সেসব কথা, আগে থেকেই কটেজ বুকিং করা ছিল আমাদের ২ রাতের জন্য। সোজা কটেজে যেয়ে দুপুরের খাবারের জন্য পাহাড়ি অঞ্চলের বিখ্যাত ব্যাম্বু চিকেন অর্ডার করে ফ্রেশ হই সবাই। ২ টা নাগাদ লাঞ্চ করে ঘুম কিছু সময়।

 

৪.৩০টা নাগাদ উঠেই কাওসার ভাইকে(চান্দের গাড়ির ড্রাইভার) কল করে গাড়ি কটেজের সামনে নিয়ে আসতে বলি। এবার আমাদের গন্তব্য হ্যালিপ্যাড। নামটা আসলেই অদ্ভুত, উঁচু একটা জায়গা যেখানে হেলিকপ্টার নামে, তাই ওটার নাম হ্যালিপ্যাড। সাজেকে ২ টা হ্যালিপ্যাড দেখেছি আমরা, আরো আছে কিনা জানিনা। কটেজ থেকে হ্যালিপ্যাড খুব বেশি দূরে না। হ্যালিপ্যাড থেকে সূর্যাস্ত দেখাই ছিল আমাদের টার্গেট।

হ্যালিপ্যাডে যেয়ে নতুন এক জিনিসের অভিজ্ঞতা নিই আমরা; আর তা হচ্ছে ব্যাম্বু টি মানে বাঁশের চা, মূলত তেঁতুল দিয়ে তৈরি চা সাইজ করা ছোট বাঁশে পরিবেশন করা হয় বলেই ওটাকে ব্যাম্বু টি বলে। রেটিং দিতে গেলে ১০ এ ৯ দিতে পারবো না; ১০ ই দিতে হবে।চা পান করতে করতে সূর্যাস্ত দেখা মূহুর্তগুলো এখনো চোখের সামনে ভাসে। একপাশে সূর্যাস্ত অন্য পাশে ভারতের সুউচ্চ পাহাড় আর ধীরে ধীরে জমতে শুরু করা মেঘ। ওখানে ৭ টা পর্যন্ত আড্ডা দিয়ে আমরা ব্যাক করি, কটেজে এসে ডিনার করি ৯ টায় তারপর রাতের সাজেক দেখতে বের হই।

রাতের বেলায়ও অপরূপ সাজে সজ্জিত থাকে সাজেক। রাতের সাজেক আর দিনের সাজেক সম্পূর্ণই আলাদা। কেন জানিনা রাতের সাজেকটাই আমার কাছে বেস্ট লাগে। রাতে আড্ডা দিয়ে ঘুমাইতে ঘুমাইতে রাত ২ টা। পরের দিন অর্থ্যাৎ শুক্রবারে আমাদের মিশন কংলাক পাহাড় আর সাজেকের ঝরণা। ভোরে এ্যালার্ম কেটে উঠে দেখি এ এক নতুন সকাল, সারা পাহাড় সাদা মেঘে আবৃত আর আমাদের কটেজ মেঘের থেকেও উপরে। এ দৃশ্য দেখার জন্যই মূলত ট্যুরিস্টরা সাজেকে যায়, সার্থক তারা যারা নিজ চোখ জুড়িয়েছে এই মেঘ ঢাকা পাহাড় দেখে।

কপাল ভাল থাকলে নিজ হাতে স্পর্শও করতে পারবেন সাজেকের এই মেঘমালা। এজন্যই সাজেককে বলা হয় মেঘের দেশ আর বান্দরবানকে পাহাড়ের দেশ। ভারতের মেঘঢাকা পাহাড় ভেদ করে আকাশ রক্তিম করা সূর্যোদয় আমার দেখা কুয়াকাটার চাইতেও বেষ্ট সূর্যোদয়। মোবাইলে ক্যামেরাবন্দি করতে ভুলিনি মূহুর্তটুকু। এখন আমাদের মিশন কংলাক পাহাড়। কংলাক পাহাড় সাজেকের সবথেকে উঁচু পাহাড়ের চূড়া। কংলাকে যাওয়ার জন্য যত আগে আগে রওনা হওয়া যায় ততই ভাল, তাতে পাহাড় ট্রেকিংয়ের কষ্ট কম হয়। আমাদের রওনা হতে অবশ্য ৭ টা বেজে গেছিল। নাস্তা সেরে কাওসার ভাইকে কল দিয়ে কটেজের সামনে থেকে গাড়িতে উঠে পড়ি, যতদূর পর্যন্ত গাড়ি যেতে পারে ততদূর পর্যন্ত যেয়ে তারপর হাঁটা পথ। হেঁটে ২০ মিনিট নাগাদ আমরা পৌঁছে যায় কংলাকের চূড়ায়। এখান থেকে রাঙামাটির সব পাহাড় ছোট লাগে, মনে হয় সারা রাঙামাটি একনজরে দেখার জন্য এটাই পারফেক্ট জায়গা। ওই চূড়ায়ও স্হানীয় আদিবাসীদের দোকানের দেখা মেলে। চলে ভরপুর নাস্তা আর মনোরম সবুজ পাহাড় দেখার প্রতিযোগীতা।

৪০ মিনিট পর্যন্ত সেখানে থেকে আবারো পাহাড় বেয়ে নেমে ফেরত আসি ওখানে;যেখান থেকে হাঁটা শুরু করেছিলাম, অর্থ্যাৎ চান্দের গাড়ি রাখা ছিল যেখানে। গাড়িতে উঠে আবারো কটেজে চলে আসি প্রয়োজনীয় কাপড় চোপড় আর তোয়ালে নেয়ার জন্য, কারণ এবারের যাত্রা সাজেকের গুপ্ত ঝরণা(নাম উদ্ধার করতে পারিনি) যা অনেক ট্যুরিস্ট জানেও না বা জানলেও যাওয়ার সাহস বা সময় পায়না। প্রয়োজনীয় সবকিছু নিয়ে আবারো গাড়িতে চেপে বসি, কিছুদূর যেয়েই গাড়ি যাওয়ার রাস্তা শেষ, এবার হাঁটতে হবে আমাদের, মূলত পাহাড় থেকে তলদেশে নামতে হবে গাছগাছালি আর জঙ্গলের মাঝের ছোট সরু পথ দিয়ে। সাকিব নামের স্হানীয় এক বাচ্চাকে গাইড হিসাবে নিয়ে পাহাড় বেয়ে নামতে শুরু করি, প্রথম প্রথম সবার মধ্যে খুব উদ্দীপনা থাকলেও কিছুদূর যাওয়ার পর একটা ভাবনা সবার মন খারাপ করে দিতে থাকে; এই নিচুতে তো নামতেছি কিন্তু উঠার সময় কি হবে!!

বার বার গাইড ভাইকে জিজ্ঞেস করতেছি সবাই, আর কতদূর?? হঠ্যাৎ ঝরণার পানি পাথরে পতিত হওয়ার শব্দ কানে আসা মাত্র সবার জানার কৌতুহল মিটে যায় আর সবার মাঝে তৈরি হয় অজানাকে জানার এক আগ্রহ। পৌঁছে যায় ঠান্ডা ফ্রেশ পানির সুউচ্চ ওয়াটারফলে।দেখেই মন জুড়ে যায়, কোথায় সেই পাহাড় ট্রেকিং এর কষ্ট!! কিচ্ছু মনে নেই। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ওয়াটারফল মৌলভীবাজারের মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতের সাথে তুলনা করলে আমি এই ঝর্ণাকেই এগিয়ে রাখবো। ঝর্ণার পানিতে ভিজে গোসল করার মজা আর বর্ণনা করলাম না, এগুলো সবাই লেখে, এগুলো উপভোগ করতে হয়। শুধু এতটুকুই বলবো হ্যাঁ, এটাই বাংলাদেশ!! প্রায় মিনিট ৫০ ঝর্ণায় গোসল করে ওখান থেকে ব্যাক করি, যদিও সবার কথা এমনই ছিল- এখান থেকে যেতে ইচ্ছা করছে না, যদি আরো সময় এখানে থাকতে পারতাম কতই না ভাল হতো!

গাইড ভাইকে নিয়ে আবারো পাহাড় ট্রেকিং, চূড়ায় উঠতে হবে এবার। কষ্ট বেশি হবে জেনেও কারো কোনো আফসোস বা অভিযোগ নেই, ঝর্ণা দেখার আর ঝর্ণার পানি গায়ে মাখার আনন্দ আমাদের সব কষ্টকে গোপন করে রেখেছিল। অনেক কষ্টে উপরে উঠে এসেই রাস্তার পাশের প্রথম রেস্টুরেন্টে ঢুকে পড়ি সবাই, উদ্দেশ্য ঠান্ডা পানি আর কোল ড্রিংকস। সবচেয়ে বড় বোকামি ছিল আমাদের সাথে পর্যাপ্ত পানি না নিয়ে যাওয়া। কিছু সময় ওখানে রেস্ট নিয়ে আগে থেকে অপেক্ষায় থাকা কাওসার ভাইকে নিয়ে সোজা কটেজে। আবারো ফ্রেশ হয়ে লাঞ্চ করে ক্লান্ত শরীরকে সুস্থ করতে ঘুম।

বিকালে আর বের হইনি কেউ,কটেজের আশে পাশেই সময় কাটিয়ে একেবারে সন্ধ্যায় বের হই; উদ্দেশ্য হ্যালিপ্যাডে সময় কাটিয়ে রাতে রিসোর্ট রুন্ময় এ বার বি কিউ (BBQ) করে আমাদের রিসোর্টে ফেরত আসা।
বারবিকিউ এর জন্য আগেই কটেজে বা হোটেলে বুকিং দিয়ে রাখতে হয়, ওদের বলে নিজেরাই বারবিকিউ করা যায়। তারা ভরা আকাশ, অন্ধকার রাত, মেঘ ঢাকা পাহাড় আর আগুনে প্রজ্জ্বলিত মাংস। সে অন্য রকম এক অনুভূতি!!! কটেজে ফিরতে ফিরতে রাত ১২ টা। সকালে নাস্তা করে কটেজের বিল পেইড করে রেডি হয়ে নিই সবাই। কারণ এবার খাগড়াছড়ি ফেরত যাবার পালা। সকাল ১০.৩০ এ সব চান্দের গাড়ি আর্মির প্রটেকশনে আবারো একত্রে ব্যাক করে খাগড়াছড়ি। দুপুর নাগাদ খাগড়াছড়ি শহরে পৌঁছায় আমরা, ওখানের এক হোটেলে এক রুম বুকিং করি রাত ৮ টা পর্যন্ত সময়ের জন্য। রুমে ব্যাগ রেখে সবাই ফ্রেশ হয়ে বের হই লাঞ্চের জন্য। লাঞ্চ শেষ করেই আবারো কাওসার ভায়ের গাড়িতে; এবারের গন্তব্য আলুটিলা গুহা, তারেং, ঝুলন্ত ব্রিজ আর রিচাং ঝর্ণা।

আলুটিলা গুহায় প্রথমে যাই আমরা, প্রতিজন ২০ টাকা আর গাড়ির জন্য ৫০ টাকা টিকিটে ঢুকে পড়ি আলুটিলা এরিয়াতে। অসাধারণ জায়গা!! যারা দার্জিলিং গেছেন তাদের কাছে পরিবেশটা পরিচিত মনে হবে।
খাগড়াছড়ি শহরটা একনজরে দেখা যায় এই আলুটিলা এরিয়া থেকে। আগে মশাল নিয়ে গুহায় যাওয়ার অনুমতি থাকলেও এখন সেটা নিষেধ করেছে কর্তৃপক্ষ। কি আর করা! মোবাইলের টর্চ আর ফ্লাসের ভরসায় প্রবেশ করি গুহায়। চারিদিকে অন্ধকার, নিস্তব্ধ আর খালি পায়ের নিচে ঠান্ডা পানির প্রবাহ, সবমিলে এক অন্যরকম অনুভূতি! একা একা প্রবেশ করলে ভয় পাইতে হবে নিশ্চিত। গুহার বাহিরের মুখটা অনেকখানি হরর মুভির পাহাড় পর্বতের মধ্যকার কোনো গুহার প্রবেশ দ্বারের মতো ভয়ংকরই বলা চলে।

গুহা থেকে বের হয়ে কিছুক্ষণ নাস্তা আর বিশ্রাম, আকাশে মেঘ ছিল, বৃষ্টি আসি আসি অবস্থা তাই রিচাং ঝরণা (গাড়ি থেকে নেমে ১.৫ কিলো হাঁটতে হয়) যাওয়া ক্যানসিল করে সোজা চলে যায় তারেং এ। মূলত সাজেকে যেটাকে হ্যালিপ্যাড বলে সেটাই এখানে তারেং নামে পরিচিত। হেলিকপ্টার নামতে পারে আর মূলত পাহাড়ের অনেক উঁচুতে হওয়ায় দূরের সব পাহাড়ের চূড়া আর ছোট নদীটা দেখা যায়। শত কষ্টে জর্জরিত মনকে শান্ত করার মতো একটা পরিবেশ এই তারেং, তাই ট্যুরিষ্টরা এটাকে বাদ দিতে পারে না।

ওখানে মিনিট ২০ থেকে ৫.৩০ এ গাড়িতে উঠি, এবারের গন্তব্য ঝুলন্ত ব্রিজ। ঝুলন্ত ব্রিজের কথা বললেই রাঙামাটির ঝুলন্ত ব্রিজের কথা মাথায় আসে আমাদের। তবে খাগড়াছড়ির এ ঝুলন্ত ব্রিজ যে কোনো অংশেই কম না তা নিজ চোখে না দেখলে বোঝা যাবেনা। আমরা ভেবেছিলাম এটা শুধু একটা ব্রিজই হবে কিন্ত মূলত এটা খাগড়াছড়ির একটা হর্টিকালচার পার্ক। ঝুলন্ত ব্রিজ ছাড়াও এখানে আছে বোট রাইডসহ প্রাকৃতিক মনোরম দৃশ্য যা সহজেই মনকে আকৃষ্ট করতে সক্ষম। কিন্ত পরিতাপের বিষয়, সন্ধ্যা হয়ে গেছিল তাই আমরা বেশি সময় থাকতে পারিনি ওখানে, তবে যারা যাবেন তাদের কাছে নিবেদন যে, নিজেরা অবশ্যই বোট রাইড করবেন আর পুরোটা ঘুরে দেখবেন। ওখান থেকে বের হয়ে সোজা হোটেলে চলে আসি, তারপর ফ্রেশ হয়ে একবারেই ডিনার আর বাসে উঠার উদ্দেশ্যে হোটেল ছেড়ে রওনা হই বাহিরে। সামনের এক রেস্টুরেন্টে ডিনার করে সোজা Saint Martin Paribahan এর কাউন্টারে আর তারপর রাত ৯ টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা এবং সকাল ৬ টায় ঢাকায়।

কিছু কথাঃ

★ সাজেক যাওয়ার জন্য খাগড়াছড়ি নামলেও হয় আবার দীঘিনালা নামলেও হয়। সব বাস খাগড়াছড়ি শহরে যায় আর দীঘিনালা যায় শুধু ‘শান্তি পরিবহন’। দীঘিনালা থেকে সাজেকের দুরত্ব কম হলেও আমার মতে খাগড়াছড়িতে নামা ভালো। বাস চয়েজের ব্যাপারটাও মাথায় রাখতে হবে।

★ চান্দের গাড়ি বা জীপ আগে থেকেও বুকিং করে রাখা যায় ওদের কাউন্টারের নাম্বারে ফোন করে। আবার ওখানে যেয়েও সরাসরি রিজার্ভ নেয়া যায়। দিন, রাত আর প্লেস হিসাবে জীপের রেট ফিক্সড করা। চান্দের গাড়ির ড্রাইভার, হেলপারের থাকা খাওয়ার ব্যবস্হা ওদের নিজেদের।

★ কটেজ অবশ্যই আগে থেকে রিজার্ভ করে নিতে হবে। সাজেকের বেস্ট কটেজের ব্যাপারে সবাই মেঘপুঞ্জি, মেঘমালা, অবকাশ এগুলোকে আগে রাখে। যতখানি সম্ভব খোঁজ খবর নিয়ে কটেজ বুকিং দেয়া উচিত। কটেজের ভাড়া ২০০০-৪০০০ পর্যন্ত প্রতি রুম প্রতি রাত, ৪ জন থাকা যায় এক রুমে।

★ খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক যাওয়ার সময় পাহাড়ের বেস্ট ভিউ পাওয়া যায় চান্দের গাড়ির উপরে/ছাদে বসে। না বসলে আসলেই অনেক কিছু মিস হবে। (বাঘাইছড়ির পর থেকে আর জীপের উপরে বসা যাবে না কারণ সাথে আর্মির গাড়িও থাকবে)

★ কংলাক পাহাড়ে উঠার সময় ছোট বাঁশ সাথে নিতে পারেন তাতে পাহাড় ট্রেকিং এ সুবিধা হয় ইভেন ওটা ঝরণায় যাওয়ার সময়ও কাজে লাগবে। কংলাকে উঠার পথেই বাঁশ কিনতে পাওয়া যায়।

★ ঝরণায় যাওয়ার সময় আসলে গাইড লাগে না, একটু খোঁজ খবর নিয়ে নিজেরাই যাওয়া যায়। তবে সাথে বাচ্চা বা বয়স্ক কেউ থাকলে অবশ্যই ঝরণাই যেতে নিষেধ করবো।

★ ঝরণায় যাওয়ার সময় ট্রেকিং করা শক্ত গ্রীপের জুতা পড়ে যাওয়া ভাল আর সাথে বাধ্যতামূলক ভাবে পানির পট রাখতে হবে সবাইকে। পলিথিনও নিয়ে যাবেন।

★ যে কটেজেই থাকেন না কেনো কটেজ রুন্ময়ে অবশ্যই অবশ্যই ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ বা ডিনার করবেন। আমাদের দেখা সাজেকের সব থেকে স্টান্ডার্ড খাবার ওদের। যদিও খরচ কিছুটা বেশি। আমরা আগে জানলে সব মিলই ওখানে খাইতাম। মূলত ওটা সেনাবাহিনীদের কিন্তু সবার জন্য উন্মুক্ত। সাজেক লিখে সার্চ দিলে সুন্দর মনোরম কটেজের যে ছবিটা প্রথমে শো করে ওটাই কটেজ রুন্ময়, চাইলে ওখানেও থাকতে পারেন। খরচ কিছুটা বেশি হবে তবে ব্রেকফাস্ট ফ্রি। BCS ক্যাডারদের জন্য হ্যান্ডসাম ডিসকাউন্ট আছে ওখানে। আর সাজেকের সব কটেজের মিল রেট একই, এটা ওদের সমিতি থেকে ফিক্সড করা, তবে রুন্ময় ব্যতিক্রম।

★ সাজেক থেকে ব্যাক করে রিচাং ঝর্ণা সহ আলুটিলা গুহা, তারেং, ঝুলন্ত ব্রিজ এগুলোই যাইতে চাইলে অবশ্যই তাড়াতাড়ি বের হতে হবে, অন্যথায় সবকিছু দেখে শেষ করতে পারবেন না।

★ সাজেক/খাগড়াছড়ি/হর্টিকালচার পার্কে আদিবাসীদের তৈরি কাপড় সহ অনেক দ্রব্য পাওয়া যায়। ঢাকার চাইতে প্রাইস তুলনামূলক অনেক কম। চাইলে কিনে আনতে পারেন।

★ পাহাড়ি মুরগীর ব্যাম্বু চিকেন আর ব্যাম্বু টি অবশ্যই খাবেন

★ পাহাড়ি জুম চাষের ফল খেতে মিস করবেন না।

★ আমাদের পার পারসন খরচ হইছিল ৫৫০০-৫৭০০ টাকার মত। তবে চাইলেই এর কমেও পারবেন।
আসলে খরচটা কতজন যাবো, কতদিন থাকবে, কোথায় থাকবো, কোথায় কোথায় ঘুরবে এগুলোর উপর নির্ভর করে বলে বিস্তারিত কিছু আর লিখলাম না।

ভ্রমণ দ্যা বান্দরবনঃ একটি সম্পূর্ন ট্যুর রিভিউ [খুলনা টু বান্দরবান]

0
খুলনা টু বান্দরবান
নীলগিরি - নীলাচল

রোজ শুক্রবার – ০৯/০৯/২০১৯
সন্ধ্যা ৬:০০টায় রয়েল মোড় বাস স্ট্যান্ড থেকে সৌদিয়া সিল্কি এসি বাসে করে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করি। আনুমানিক রাত নয়টার সময় মাওয়া ফেরিঘাটে সন্ধ্যার নাস্তা ডিম খিচুড়ি খাওয়া সম্পন্ন করি। এরপর ফেরি পার হয়ে আবার গন্তব্যে যাত্রা শুরু করি । রাত তিনটার সময় কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী জমজম হোটেলে সৌদিয়া কোম্পানির সৌজন্যে বুফে ডিনার করি।

রোজ শনিবার – ১০/০৯/২০১৯
সকাল ৮:০০টার দিকে চট্টগ্রাম দামপাড়া বাস স্ট্যান্ডে পৌঁছে ফ্রেশ হয়ে সিএনজিতে করে দামপাড়া থেকে চট্টগ্রাম টার্মিনালে যাই।ঐখান থেকে পূরবী বাসে করে বান্দরবানের উদ্দেশ্যে রওনা করি।দুপুর ১২:৩০ মিনিটে বান্দরবনে পৌঁছাই।। এরপর বাসস্ট্যান্ডের অপজিটে হিলভিউ হোটেলে উঠে ফ্রেশ হয়ে বান্দরবান সদরের বিখ্যাত হোটেল আমিরাবাদে লাঞ্চটা সেরে ফেলি ,এরপর লিংকন দাদার(নাম্বার নিচে দেওয়া থাকবে) ফোর হুইলার চাঁদের গাড়িতে করে ভ্রমণ শুরু করি।

ভ্রমণের স্থানঃ-

  • স্বর্ণমন্দির
  • মেঘলা
  • রূপালী ঝর্ণা
  • নীলাচল

ফিরে এসে সন্ধ্যায় নাস্তা করে রুমে এসে ফ্রেশ হই এবং বিশ্রাম নেই।ঘন্টা দেরেক বিশ্রাম নিয়ে শহর টা ঘুরে দেখি।রাতে খাওয়া দাওয়া সেরে ভাই বন্ধুরা মিলে অনেক রাত পর্যন্ত আড্ডা দেই, এরপর যার যার মত ঘুমিয়ে পড়ি!!

রোজ রবিবার – ১১/০৯/২০১৯
সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে, নাস্তা করে থানচির উদ্দেশ্যে চাঁদের গাড়িতে উঠে পড়ি।
থানচি যাওয়ার পথে যে স্পটগুলো ঘুরে দেখি।

ভ্রমণের স্থানঃ-

  • শৈলপ্রপাত
  • চিম্বুক
  • নীলগীরি

দুপুরে আমরা থানচি পৌঁছে যাই। এবার আমাদের ঠিক করা গাইড মাট্রিন (নাম্বার নিচে দেওয়া থাকবে)সাথে যোগাযোগ করি এবং কাগজপত্র রেডি করে থানা ও বিজিবির অনুমতি নেই। এবার থানচি বাজারের সবথেকে ভালো টং মাং হা রেস্টুরেন্টে দুপুরের লাঞ্চ সেরে ফেলি।থানচি বাজার থেকে ট্রেকিং জুতা কিনি এবং বিজিবি থেকে লাইফ জ্যাকেট ভাড়া নেই,কারণ সেফটি ফার্স্ট। গাইডের ঠিক করা বোটে করে রওনা দেই রেমাক্রির উদ্দেশ্যে।এর মাঝে আমরা প্রত্যেকে তার পরিবারের সাথে কথা বলে নেই, কারণ আর কিছুদূর গেলে মোবাইলের নেটওয়ার্ক থাকবে না। টুরিস্টরা সবাই জানি থানচি পার হলে মোবাইল নেটওয়ার্ক থাকে না। এরপরই শুরু হয় আমাদের বর্ষাকালীন স্ট্রিম সাঙ্গু অভিযান, যার পদে পদে রয়েছে বিপদ এবং নৈসর্গিক পাহাড়ি সৌন্দর্য্য ও রোমান্সের ছোঁয়া। যা আমি এবং আমার ট্যুর-মেটরা কখনো ভুলতে পারব না। (মৃত্যু খুব কাছ থেকে দেখার স্বাদ পেয়েছি )

এরপর রেমাক্রি বাজারে নাফাখুম গেস্ট হাউসে আমরা রাত্রিযাপন করি। নাফাখুম গেস্ট হাউজ এর দাদারা খুব আন্তরিকও আতিথেয়তা পূর্ণ । রাতে রেমাক্রি বাজার ঘুরে দেখি।এবার শুরু হয় রাতভর বৃষ্টি যা আমাকে অনেক ভয় পাইয়ে দিয়েছিল, কারণ পাহাড়ি বৃষ্টি শুরু হলে লাগাতার কয়েকদিন চলমান থাকে। এরপর নাফাখুম রেস্ট হাউজে আমরা বন-মোরগ ও জুম চালের ভাত দিয়ে রাতের ডিনারটা সম্পন্ন করি।তারপর কপালে চিন্তার ভাঁজ নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি।

রোজ সোমবার – ১২/০৯/২০১৯
সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে, নাস্তা করে গাইডের পরামর্শমতো থানচির উদ্দেশ্যে রওনা করি । ফিরে আসার পথে অপরূপ সৌন্দর্য্যে ভরা প্রাকৃতিক ঝর্নায় সবাই গোসল করি। সৃষ্টিকর্তার প্রতি অসীম ধন্যবাদ জানিয়ে আমরা থানচিতে ফিরে আসতে পারি । এবং থানচিতে এসে “দি হোটেল ডিসকভারি” তে উঠি বা এন্ট্রি হই।তারপর দশ মিনিটের ভিতরে ফ্রেশ হয়ে থানচি ডিম পাহাড় ও লিলুক ঝর্না দেখতে বেরিয়ে পড়ি হোটেলের ম্যানেজারের সাথে। পাহাড়ি উঁচু-নিচু রাস্তা অনেক কষ্টের মধ্য দিয়ে পৌঁছে গেলাম ডিম পাহাড়ে। লিলুক ঝর্নায় কিছুক্ষণ ঝাপাঝাপি করে ফিরে আসি হোটেলে। তারপর ফ্রেশ হয়ে সবাই মিলে দুপুরের লাঞ্চ শেরে ফেলি । একটু ঘুম দিলাম সন্ধ্যা পর্যন্ত। এরপর রাতে আড্ডা দিলাম থানচি বাজারে। বর্ষাকালীন সাঙ্গু নদী উপভোগ করলাম থানচি ব্রিজের উপর দাঁড়িয়ে । এবার চলে গেলাম টং মাং হা রেস্টুরেন্টে, দুপুরে আগে থেকে অর্ডার দেওয়া বাম্বু বিরিয়ানি খাওয়ার উদ্দেশ্যে, হ্যাঁ আমরা রাতে বাম্বু বিরিয়ানি দিয়ে খাওয়াটা সম্পন্ন করলাম। অনেক রাত পর্যন্ত আড্ডা দিয়ে ঘুমিয়ে গেলাম যার যার মত।

রোজ মঙ্গলবার – ১৩/০৯/২০১৯
ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে, নাস্তা করে সবকিছু গুছিয়ে চাঁদের গাড়িতে করে বগালেকের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলাম। রুমা বাজার গিয়ে গাইডের এর সাথে যোগাযোগ করি এবং সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় নিয়ম কাজগুলো সেরে ফেলি । রুমা বাজার থেকে রাতের জন্য বারবিকিউ এর মুরগি ও মশলাপাতি কিনে নেই। এবার বগালেক পৌঁছে সেনাবাহিনীকে রিপোর্টিং করে সিয়াম দিদির কটেজে উঠি ।কটেজ গুলো আসলেই সুন্দর,কটেজ গুলো দেখলে মনে হয় বাশ আর ছন দিয়ে বানানো পাহাড়ি জুম ঘর। এবার জামাকাপড় ছেড়ে চলে গেলাম লেকের পানিতে গোসল করতে। খানিকক্ষণ লেকের পানিতে ঝাঁপাঝাঁপি করে, কটেজে গিয়ে ফ্রেশ হলাম। এরপর সিয়াম দিদির ডাইনিংএ দুপুরের লাঞ্চটা (পাহাড়ি খাবারের সাথে) সেরে ফেললাম। খাওয়া-দাওয়া টা সেরে লেকের পাশে পার্কে বসে আড্ডা দিলাম অনেকক্ষণ। এরপর সন্ধ্যার পরে সেনাবাহিনীদের ক্যান্টিনে গিয়ে ক্যালসিয়াম(খেতে অনেকটা হরলিক্স এর মত) পান করলাম। গাইডের ফোন পেয়ে চলে আসলাম সিয়াম দিদির কটেজের সামনে , দাদার আগে থেকে ম্যারিনেট করা মুরগির মাংস নিয়ে আসা হল, এবার শুরু হলো বারবিকিউ পার্টি। বারবিকিউ এর সাথে খাওয়ার জন্য আগে থেকে লুচির অর্ডার দেওয়া ছিল সেনাবাহিনীদের ক্যান্টিনে। রাত আনুমানিক দুইটা পর্যন্ত পার্টি চললো লেকের পাড়ে বসে। এরপর শুরু হল বৃষ্টি ঠাণ্ডা অনুভূতি নিয়ে,চাদর মুড়ি দিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম সবাই।

রোজ বুধবার – ১৪/০৯/২০১৯
ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হই,তখনো বৃষ্টি কমেনি নাস্তা করি গরম গরম খিচুড়ি আর ডিম ভাজি দিয়ে। হালকা বৃষ্টি কমলে গাইড কে সাথে (সেনা বাহিনীর অনুমতি) নিয়ে কেওক্রাডং এর উদ্দেশ্যে রওনা হলাম । কিছুদূর আসার পর আমরা যখন কিছুটা ক্লান্ত, পেয়ে গেলাম পাহাড়ি টং এর দোকান সেখানে সবাই পাহাড়ি লেবুর শরবত,কলা,কেক ইত্যাদি খাওয়া শেষ করে আবার যাত্রা শুরু পাহাড়ি উঁচু,নিচু, সমতল পথ চলতে চলতে একটি ঝর্ণা চোখে পড়ল , অনেক ছোট-বড় পাথর পেরিয়ে পৌঁছে গেলাম সেই কাঙ্খিত চিংড়ি ঝর্নার পাদদেশে, তার সৌন্দর্যে হারিয়ে গেলাম নিজের আপন ভুবনে। কিছু ছবি স্মৃতির পাতায় রেখে যাত্রা শুরু করলাম গন্তব্যে। কিছুদুর যেতেই খাড়া পাহাড়ি পথ কষ্টকর মুহূর্ত শুরু হল দীর্ঘ এক ঘন্টা হাঁটার পর একটু চুরা মতো জায়গায় গিয়ে পৌঁছলাম। সেখানে একটি টং এর দোকানে কিছুক্ষণ রেস্ট নিয়ে লেবুর শরবত পান করে যাত্রা শুরু করলাম। ঘন্টা দেড়েক পর পৌঁছে গেলাম দার্জিলিং পাড়ায় আরিয়ান দিদির টংঘরে, সবাই কিছু কেক কলা জল খেয়ে নিয়ে শুরু হলো কেওক্রাডং অভিযান । এবার আর 20-30 মিনিটের পথ, পৌঁছে গেলাম সেই বাংলাদেশের পঞ্চম সুউচ্চ পাহাড় কেওক্রাডং এর চূড়ায়। পৌঁছে সেনাবাহিনীর কাছে রিপোর্টিং সেরে “লালা মন্থন লালা” দাদার কটেজে উঠে পড়লাম। হালকা ফ্রেশ হয়েই কটেজের ডাইনিং এ দুপুরের লাঞ্চের জন্য বসলাম। ডিম আর ডাল দিয়ে দুপুরের লাঞ্চটা সেরে ফেললাম। অনেকটাই দুর্গম এলাকা এখানে খাবার পাওয়া যায় একটাই সৌভাগ্যের বিষয়। মোবাইল নেটওয়ার্ক খুব ভালো পাওয়া যায় না,নির্দিষ্ট পয়েন্টে কিছুটা পাওয়া যায়।এরপর মেঘের ভিতর বসে আড্ডা দিচ্ছি এবং হাত দিয়ে মেঘ ছোঁয়া যে অনুভূতি, সেটা আসলে ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। আমাদের কটেজটা ছিল নতুন কটেজ এবং পাহাড়ের শেষ সীমানায় এর জন্য আমরা বারান্দায় বসলেই মেঘের ভেতরে ডুবে যেতাম।
নিজ চোখে না দেখলে আসলে বিশ্বাস করতে পারতাম না,এটা মেঘ না অন্য কিছু!!

সন্ধ্যা থেকেই প্রচুর ঠান্ডা শুরু হয়ে গেছে, রাত যত গভীর হচ্ছে তত ঠান্ডার পরিমাণও বাড়ছে। এর মধ্যে আমরা সবাই কটেজের ডাইনিংয়ে গিয়ে বসলাম ওইখানটায় চারিপাশ আটকানো একটু গরম অনুভুতি হচ্ছে। ওইখানে একটি দোকান আছে যার যা ইচ্ছা সে সেটা খাচ্ছি আর ফোনগুলো চার্জে দিচ্ছি। বলতে ভুলে গেছি, এই কটেজে বিকাল ৫টা থেকে রাত ১২পর্যন্ত জেনারেটরের মধ্যমে বিদ্যুৎ চলে।এরপর রাত দশটার দিকে আমরা মুরগির মাংস দিয়ে রাতের খাবার টা সেরে ফেললাম। আর কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে কটেজে ফিরে লেপ মুড়ি দিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম,কারণ আমরা খুব ক্লান্ত।

রোজ বৃহস্পতিবার – ১৫/০৯/২০১৯
ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হই,সেনাবাহিনীর কাছে থেকে চেক আউট করে নেমে আসলাম দার্জিলিং পাড়ায় আরিয়ান দিদির পাহাড়ি দোকানে, আমাদের আগের দিন অর্ডার দেওয়া জুম চালের ভাত(দেখতে অনেকটা লালচে ), আলু ভর্তা, ঝাল পেঁয়াজ ভর্তা, ডাল,বাশ করল ও দিদির হাতের স্পেশাল বাম্বু চিকেন দিয়ে সকালের খাবার সম্পন্ন করি।
একটু রেস্ট নিয়ে বগালেকের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলাম। নির্দিষ্ট সময়ে বগালেক পৌঁছে গেলাম।

সবাই খুব তাড়াতাড়ি গোসল করে জিনিসপত্র গুছিয়ে সেনাবাহিনীর কাছে থেকে চেক আউট করে গাড়িতে উঠে পড়লাম গন্তব্য এখন আমাদের বান্দরবান ফেরার পালা।বান্দরবান পৌঁছে দুপুরে লাঞ্চ সেরে, একঘন্টা সবাইকে কেনাকাটার জন্য সময় দেয়া হলো।কেনাকাটা শেষে সবাই চট্টগ্রাম চলে আসার জন্য বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে পৌঁছালাম। সেখানে গিয়ে দেখি ঈদের ছুটি শেষ তাই কোন বাসে কোন টিকিট নাই , টিকিট না পেয়ে আমরা কাটা কাটা চট্টগ্রাম শহরে চলে আসলাম। এরপর একটি কম দামি হোটেলে রাত্রিযাপন করলাম, কারণ আমাদের পকেটের টাকা কমে আসছে। রাতে একটি নিরামিষ হোটেল থেকে রাত্রের খাবার সম্পন্ন করলাম। তারপর আমরা সবাই খুব খুব ক্লান্ত তাই বেশিক্ষণ আড্ডা না দিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম।

রোজ শুক্রবার – ১৬/০৮/২০১৯
ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে, নাস্তা করে নিলাম। মনটা আজ সকলেরই খুব খারাপ কারণ আজ বাড়ি ফেরার পালা। সবাই গোসল করে ফ্রেশ হয়ে দুপুর একটার দিকে আমাদের ট্যুর ম্যানেজার মৃত্যুঞ্জয় দাদার বাসায় দাওয়াত খেতে গেলাম। দুপুরে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে হালকা বিশ্রাম নিয়ে সবকিছু গুছিয়ে রেডি হয়ে, দামপাড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে সৌদিয়ার নন এসি বাসে খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। তারপর মাওয়া ঘাটে এসে রাতে ইলিশ ভাজি ও বেগুন ভাজা দিয়ে রাতের খাবারটা সম্পন্ন করলাম। এরপর ফেরি পার হয়ে আবার গন্তব্যে যাত্রা শুরু করলাম।

রোজ শনিবার – ১৭/০৮/২০১৯
সকালে সোনাডাঙ্গা বাস স্ট্যান্ডে বাস থেকে নেমে যার যার গন্তব্যে ফিরে যাই।আর এভাবেই আরেকটি অসাধারন অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরের সমাপ্তি!! লেখাঃসুদীপ্ত

ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে বড় পাঁচ অঘটন

0

১. বাংলাদেশ বনাম অস্ট্রেলিয়া, নেটওয়েস্ট সিরিজ, কার্ডিফ, ১৮ই জুন, ২০০৫

Photo: Cricinfo.com

ফলাফলঃ বাংলাদেশ ০৫ ইউকেটে জয়ী
ওয়ানডে র‍্যাংকিং এর সবচেয়ে নিচে অবস্থানকারী দল বাংলাদেশ তৎকালীন বিশ্ব ক্রিকেটে সবচেয়ে শক্তিশালী একাদশকে চেপে ধরেছিল। অস্ট্রেলিয়ার সাথে ম্যাচের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ ১০৭ টি ওয়ানডের মধ্যে মাত্র ০৯ টিতে জয়লাভ করতে সক্ষম হয়েছিল। প্রথম খেলায় ইংল্যান্ডের কাছে বিশাল ব্যাবধানে পরাজিত হয়েও বাংলাদেশ বিশ্বের এক নাম্বার ব্যাটিং লাইন আপকে মাত্র ২৪৯ রানে সীমাবদ্ধ  রাখতে সমর্থ হয়েছিল। পরে বাংলাদেশ ব্যাট করতে নেমে মোহাম্মদ আশরাফুলের সেঞ্চুরিতে ভর করে মাত্র ০৫ উইকেট হারিয়ে সহজেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়, কার্ডিফে রচিত হয় এক নতুন ইতিহাস। বিরোচিত ১০০ রান করে জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখায় মোহাম্মদ আশরাফুলকে ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত করা হয়েছিল।

২. কেনিয়া বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ, বিশ্বকাপ, পুনে, ২৯ই ফেব্রুয়ারী, ১৯৯৬

Photo: Cricinfo.com

ফলাফলঃ কেনিয়া ৭৩ রানে জয়ী
১৯৯৬ সালে কেনিয়া যখন বিশ্বকাপের লিগ পর্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হয়েছিল, তখনও পর্যন্ত কেউ প্রত্যাশা করেনি কেনিয়া প্রতিযোগিতা করতে সক্ষম হবে। কিন্তু না! কেনিয়া পুরো বিশ্বকে চমকে দিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৭৩ রানে হারিয়ে বিশাল জয় তুলে নেয়। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে জিম্বাবুয়ে ১৬৬ রান সংগ্রহ করে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৬৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৯৩ রানে অল-আউট হয়ে যায়। কেবলমাত্র ওয়েস্ট ইন্ডিজের দু’জন ব্যাটসম্যানই দুই অংকের রান করতে পেরেছিল যাকে ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বিপর্যয় বলে অভিহিত করা হয়েছিল। তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নিয়ে জিম্বাবুয়ের মরিস ওদুম্বে ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হয়েছিলেন।

৩. ভারত বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ,বিশ্বকাপ ফাইনাল, লর্ডস, ২৫ই জুন, ১৯৮৩

Photo: Cricinfo.com

ফলাফলঃ ভারত ৪৩ রানে জয়ী
ওয়ানডেতে প্রথম নয় বছরে মাত্র ১৭ টি জয় নেয়া ভারতকে বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলায় যথেষ্ট ভাগ্যবান বলে বিবেচনা করা হয়েছিল। কিন্তু তাই বলে বোলিং-ব্যটিং এবং অন্য সব কিছু বিবেচনায় শক্তিশালী ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে দাঁড়াতে পারে এমন কোনও সম্ভবনাই ছিল না। ব্যাট করতে নেমে ভারত যখন মাত্র ১৮৩ রানে গুটিয়ে যায়, তখন কেউই কল্পনা করতে পারেনি কি হতে চলেছে। এরপরে ভারতের সম্মিলিত বোলিং-ফিল্ডিং আক্রমনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস মাত্র ১৪০ রানে থামিয়ে ৪৩ রানে জয় নিশ্চিত করে। খেলায় ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন মহিন্দর অমরনাথ।

৪. জিম্বাবুয়ে বনাম অস্ট্রেলিয়া, বিশ্বকাপ, ট্রেন্ট ব্রিজ, ০৯ই জুন, ১৯৮৩

Photo: Cricinfo.com

ফলাফলঃ জিম্বাবুয়ে ১৩ রানে জয়ী
এমন একজন ব্যক্তি যদি থাকেন যিনি বাংলাদেশের কার্ডিফের অবিশ্বাস্য জয়ের পরে কী অনুভূত হয়েছিল বুঝতে পারেন তিনি হলেন একমাত্র ডানকান ফ্লেচার ! ১৯৮৩ সালে ট্রেন্ট ব্রিজের বিশ্বকাপ ফ্লেচারের জিম্বাবুয়ে তাদের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে, বিশ্বকাপের প্রথম খেলায় অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে পুরো বিশ্বকে হতবাক করে দিয়েছিল। যেই মুহূর্তে জিম্বাবুয়ের ইনিংসটি ধস নেওয়ার দ্বারপ্রান্তে ঠিক তখনি ফ্লেচার মাঠে প্রবেশ করেন এবং ৬৯ রান করে দলকে শক্ত অবস্থানে নিয়ে যান। । জবাবে অস্ট্রেলিয়া কোন উইকেট না হারিয়ে ৬১ রান দিয়ে শুভ সূচনা করে। কিন্তু ঠিক সেই সময়ে আবার ফ্লেচার ফিরে এসে অস্ট্রেলিয়ান চারটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট শিকার করেন। যার উপর ভিত্তি করে রচিত হয় সেই ঐতিহাসিক জয়! অসামান্য অবদানের জন্য ডানকান ফ্লেচার ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন। বাংলাদেশের অন্যতম ব্যাটসম্যন তামিম ইকবাল সম্পর্কে জানতে দেখুনঃ নির্ভরতার আরেক নাম তামিম ইকবাল

৫. বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান, বিশ্বকাপ, নর্থহ্যাম্পটন, ৩১ই মে, ১৯৯৯

Photo: Cricinfo.com

ফলাফলঃ বাংলাদেশ ৫২ রানে জয়ী
খালেদ মাহমুদের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ ইতিপূর্বে কোনও টেস্ট খেলা দেশকে পরাজিত করতে পারেনি। বাস্তবে তারা খুব কমই প্রতিরোধ তৈরি পারত কিন্তু ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনিস, শোয়েব আখতার এবং সাকলাইন মুশতাকের মতো খেলোয়াড়ের সমন্বয়ে গঠিত দুর্দান্ত বোলিং লাইনআপের বিরুদ্ধে তারা সাহসী প্রতিরোধ গড়ে তোলে। বাংলাদেশ প্রথম ব্যাট করতে নেমে পাকিস্থানের বিরুদ্ধে ২২৩ রানের প্রতিযোগিতামূলক চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই পাকিস্তান ৪৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে যায়! অবশেষে খালেদ মাহমুদের নেতৃত্বাধীন বোলিং আক্রমণ বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করে। জয়ের ধারায় ফিরিয়ে আনায় খালেদ মাহমুদ ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন।

করোনা ভাইরাস থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখার উপায় !

0
how-to-save-from-coronavirus---roar71

করোনা ভাইরাস থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখার উপায়ঃ

করোনা ভাইরাস কিঃ

করোনা এর ধরণের সংক্রামক ভাইরাস। করোনার অনেক প্রজাতি আছে যার মধ্যে ছয় প্রজাতি মানুষের শরীরে সংক্রমিত হতে পারে। এখন নতুন ভাইরাসের কারণে করোনা ভাইরাসের মোট প্রজাতি হল সাতটি। ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই নতুন প্রজাতির করোনা ভাইরাসের আনুষ্ঠানিক নাম দেয় এনসিওভি-২০১৯ বা নভেল করোনা ভাইরাস। বর্তমানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা রোগটিকে বিশ্ব মহামারি ঘোষণা করেছে।

What-is-Corona-Virus---roar71

২০০২ সালে চীনে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া সার্স (সিভিয়ার এ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম) নামক ভাইরাসে ৮০৯৮ জন সংক্রমিত হয় এবং ৭৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল যা এক ধরণের করোনা ভাইরাস ছিল।

করোনা ভাইরাসের উৎপত্তিস্থলঃ

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমান করছে, সাম্প্রতিক করোনা ভাইরাসটি চীনের উহান শহরের একটি বাজার যেখানে সামুদ্রিক মাছ বিক্রি হয় সেখান থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয়েছে।

Wuhan-China

বাজারটিতে অনেক জীবন্ত প্রাণী যেমন মুরগি, বাদুড়, খরগোশ, সাপ পাওয়া যেত যা করোনা ভাইরাসের উৎস হতে পারে। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, চীনের হর্সশু নামের একপ্রকার বাদুড়ের সঙ্গে এই ভাইরাসের ঘনিষ্ঠ মিল রয়েছে। এছাড়াও বেশ কিছু সামুদ্রিক প্রাণী যেমন, বেলুগা তিমি করোনা ভাইরাস বহন করতে পারে।

করোনা ভাইরাসের লক্ষণসমূহঃ

জ্বর, কাশি, শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যাই মূলত প্রধান লক্ষণ।এটি ফুসফুসে আক্রমণ করে। সাধারণত শুষ্ক কাশি ও জ্বরই প্রাথমিক উপসর্গ হিসেবে দেখা দেয়, পরে শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যায় রুপান্তর নেয়। সাধারণত রোগের উপসর্গগুলো প্রকাশ পেতে গড়ে পাঁচ দিন সময় লাগে।

symptoms-of-corona-virus---roar71

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, ভাইরাসটির ইনকিউবেশন সময়কাল ১৪ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়। কিন্তু অনেক গবেষকের মতে এর স্থায়িত্ব ২৪ দিনও স্থায়ী হতে পারে। এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি অসুস্থ না হয়েও সুস্থ মানুষের দেহে ভাইরাস সংক্রমিত করতে পারে। সাধারণ সর্দিজ্বর এবং ফ্লু’য়ের উপসর্গ কাছাকাছি হওয়ায় রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে জতিলতা তৈরী হতে পারে।

যেভাবে ছড়াতে পারে করোনা ভাইরাসঃ

১. বাস, ট্রেন, টেম্পু কিংবা অন্য যে কোন ধরণের লোকাল পরিবহন ব্যবহার করলে।

২. কর্মক্ষেত্র একই ডেস্ক এবং কম্পিউটার ব্যবহার করলেও ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে।

৩. বাজার, খেলাধুলার স্থান, সিনেমা হল এরকম জনসমাগমস্থল

৪. ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ব্যবহার করা কলম এবং অন্যান্য উপকরনের

৫. বাড়ি কিংবা অফিসের লিফটের বাটনের মাধ্যম।

৬. টাকা-পয়সা এবং ধাতব মুদ্রার লেনদেনের কারণে।

৭. করমর্দন এবং কোলাকুলির মাধ্যমেও করোনা ভাইরাস ছড়াতে পারে।

৮. অনেকে ব্যবহার করার কারণে এটিএম বুথ থেকেও সংক্রমণ হতে পারে।

৯. আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি, কাশি থেকে ছড়াতে পারে করোনা ভাইরাস।

করোনা ভাইরাস থেকে বেচে থাকার উপায়ঃ

আসুন তাহলে জেনে নেয়া যাক কিভাবে করোনা ভাইরাস বেঁচে থাকার উপায়গুলো-

way-to-safe-from-coronavirus---roar71

১. জরুরী কাজ ব্যাতিত ঘরের বাইরে না যাওয়া।

২. অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা মানে একজন থেকে আরেকজন নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে চলা।

৩. কোন প্রয়োজনে বাইরে গেলেও অবশ্যই মাস্ক ব্যাবহার করা ।

৪. বাইরে থেকে বাসায় আসলে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ভালোভাবে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া।

৫. মাংস, ডিম অথবা শাক-সবজি ভালোভাবে ধুয়ে রান্না করতে হবে।

৬. বাইরে থেকে বাসায় আসলে গোসল করে নেয়া।

৭. ময়লা কাপড় ভালোভাবে ধৌত করা এবং উচ্চ তাপমাত্রায় শুকিয়ে নেয়া।

৮. আপাতত করমর্দন এবং কোলাকুলি থেকে বিরত থাকাই উত্তম।

৯. প্রচুর পরিমানে ফলের রস এবং পর্যাপ্ত পানি পান করা।

১০. অফিসে কাজ শুরু করার আগে আসবাবপত্র, কম্পিউটার, কিবোর্ড, মাউস ইত্যাদি পরিষ্কার করে নেয়া।

১১. হাসপাতালে কর্মরত সকল ডাক্তার, নার্সকে অবশ্যই পিপিই (পার্সোনাল প্রটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট)পরিধান করে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করতে হবে।

উপরোক্ত সতর্কতা মেনে চললে আশা করা যায় আমরা করোনা ভাইরাস থেকে বেঁচে থাকতে পারব। তারপরেও রোগের লক্ষণ প্রকাশ পেলে দ্রুত IEDCR এ অথবা ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করে তাদের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে। IEDCR এ ২৪ ঘন্টা যোগাযোগের নাম্বার, 01944-333222

আজ এ পর্যন্তই। সকলকে ধন্যবাদ আমাদের সাথে থাকার জন্য।

তথ্যসূত্রঃ বিবিসি বাংলা

 

IELTS এর সাতকাহন – A to Z of IELTS Preparation

1
IELTS-Preparation-A-to-Z
আই এল টি এস প্রিপারেশন
যখনই IELTS এর জন্যে প্রিপারেশন নেওয়ার ডিসিশান শুরু হয় সাথে সাথে বেশিরভাগ মানুষ চোখ কান বুজে কোচিং এ ভর্তি হয়ে যায়। IELTS এর জন্যে কোচিং করেছেন এমন ভাইয়া আপু বা যে কারো সাথেই কথা বললে বুঝতে পারবেন কোচিং সেন্টারে ভর্তি হয়ে তেমন কোন লাভ হয় না। রাস্তাঘাটে যখন “IELTS এ গ্যারান্টি সহকারে ৭+ পাইয়ে দেওয়া হয় এ টাইপের বিজ্ঞাপন দেখবেন তা থেকে ১০০ হাত দূরে থাকবেন। কোচিং এ ভর্তি হলেই যে IELTS এর ব্যাপারে আপনি এক্সপার্ট হয়ে যাবেন ব্যাপারটা এরকম না। IELTS Coaching Center বড়জোর ডিরেকশন দিতে পারে, আপনি সেই ডিরেকশন ২০০ টাকার বইতেও পাবেন। কোচিং সেন্টার তো আর আপনাকে হাতে ধরে শিখিয়ে দিবে না, ওখানে গেলে বরং টাইম লস। আমি নিজেও কোথাও IELTS কোচিং করিনি । পরিচিত অনেকি আছেন যারা IELTS ইন্সট্রাকটর হিসেবে কাজ করছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে, তাদের সাজেশন অনুযায়ী আমি যেসব বই অনুসরন করেছি তা নিয়ে এই লেখাটা লিখলাম।

IELTS এর যেসব প্র‍্যাকটিস ম্যাটেরিয়ালস এর দরকার পড়বে তার একটা লিস্ট দিলাম:

  1. The Official Cambridge Guide to IELTS:
    এটা হচ্ছে অনেক টা টেক্সটবুকের মতো – IELTS পরীক্ষার জন্য, আর বাকিসব পরীক্ষার মতোই এখানে পাঠ্যবিষয়ের পাশাপাশি কিছু নিয়মকানুন অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ইংরেজিতে ভাল জ্ঞান থাকা সত্ত্বেও ভালো টেকনিক জানা না থাকায় অনেকে আশানুরূপ ফলাফল করতে পারে না, অনেক কম স্কোর আসে। IELTS এর এসব খুঁটিনাটি দেওয়া আছে এই বইটাতে। বইটার আরেকটা ভালো  দিক হলো প্রতিটি সেকশন : Reading, Listening, Writing, Speaking এর জন্যে এখানে অনেক এক্সারসাইজ প্রবলেম দেওয়া আছে।
  2. Mentors IELTS Guide: মেন্টরস এর এই বইটাতে IELTS এর Rules & Regulations, Marks Distribution এবং পাঠ্যবিষয় সম্পর্কে বাংলায় খুব ভালো ধারণা পাবেন। নীল ক্ষেতে বইটা কিনতে পাওয়া যায়(সিডিসহ)। দাম ২৫০-৩৫০ টাকা।এই বইটা দিয়ে আপনি আপনার প্র্যাকটিস শুরু করতে পারেন। এটা পড়ে পরীক্ষার যাবতীয় নিয়মকানুন ও পরীক্ষার ধরণ নিয়ে একটা ধারনা হবে।
  3. Cambridge Practice Tests for IELTS Book(1-11):  এই বইয়ের সেট ১৪ টা – পাবেন নীলক্ষেতে। বইয়ের সাথে সিডি না কিনে ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করে নেওয়াই ভালো। মূলত এই বইগুলা প্র্যাকটিস করেই সবাই IELTS দিয়ে থাকে। এই বইগুলো IELTS এর জন্যে মোটামুটি বাধ্যতামূলক। সময় একেবারে কম থাকলেও সর্বশেষ প্রকাশিত বইগুলো বিশেষ করে IELTS Practice Tests Book(৭-১৪) অবশ্যই সলভ করে যেতে হবে। এইগুলো সলভ না করে IELTS এর এক্সাম দিতে যাওয়া কোনভাবেই উচিত না।
সিরিয়াল অনুযায়ী উপরোক্ত লিস্টের বইগুলা প্র্যাকটিস করলে ILETS তুলনামূলক অনেক সহজ লাগবে। পাশাপাশি ইউটিউবে কিছু ভিডিও লেকচার দেখতে পারেন। স্পেশালি  “Learning English with Emma” (20 টা ভিডিও) চ্যানেলটাতে মোটামুটি অনেক সহজ করে বোঝানো হয়েছে।
আর প্র‍্যাকটিস শুরু করবেন Reading দিয়ে, কারণ এই সেকশন টা আমাদের সবচেয়ে পরিচিত লাগবে, অনেকটা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের seen comprehension এর মত। এরপর পর্যায় ক্রমে Listening তারপর Writing. লিসেনিং এ ভাল করতে Subtitle ছাড়া হলিউড মুভি বা টিভি সিরিজ দেখতে পারেন। একবার না বুঝলে পজ করে আবার শুনুন। ভাল হয় আগে দেখা টিভি সিরিজ বা মুভি সাবটাইটেল ছাড়া পুনরায় দেখা এবং মনযোগ দিয়ে শোনা। স্পিকিং এর জন্যে একজন ফ্রেন্ডের সাথে রেগুলার ইংরেজিতে কথা বলা প্র‍্যাকটিস করতে পারেন। আর অবশ্যই অবশ্যই মূল পরীক্ষার আগে ইউটিউবে বেশ কিছু Sample IELTS Speaking Session দেখে নিবেন। ফরম্যাট বুঝে নিতে সুবিধা হবে। আর পরীক্ষা দেওয়ার মিনিমাম ৬ মাস আগে থেকে “একটু একটু” করে প্র্যাকটিসের অভ্যাস করবেন।শেষ মুহূর্তে এসে সব কিছু একবারে করতে গেলে ভাল স্কোর নাও আসতে পারে। আর রেজিস্ট্রেশন করবেন পরীক্ষার দুই মাস আগে। এই দুই মাস ভাল করে প্রিপারেশন নিতে হবে। রেজিস্ট্রেশন করে ফেলার পর মাথায় একটা ডেডলাইন থাকে যা নিয়মিত প্রিপারেশনে সহায়ক।
যাই হোক, ধন্যবাদ এতোক্ষণ কষ্ট করে লেখাটা পড়ার জন্যে।
IELTS এ আমার Overall Band Score ছিল 7.0 That doesn’t mean I am an expert..আমি শুধু পরীক্ষা দেওয়ার অভিজ্ঞতা থেকে যা শিখেছি তাই শেয়ার করছি আপনাদের সাথে। ভুল হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন ।কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।

Loading

বিশ্ববিদ্যালয় পরিচিতিঃ ফ্লোরিডা আটলান্টিক বিশ্ববিদ্যালয়

0
Florida-University-Intro-USA

১৯৪২ সাল ২য় বিশ্ব যুদ্ধের সময় আটলান্টিকের তীরে ইউ এস আর্মি দ্বারা পরিচালিত “Boca Raton Army Air Field” কে তৎকালীন ৩৬ তম আমেরিকান প্রেসিডেন্ট Lyndon Baines Johnson অফিশিয়ালি চালু করার ঘোষনা প্রাদান করেন ।সেটিই এখন ফ্লোরিডা আটলান্টিক ইউনিভার্সিটি নামে পরিচিত এবং এখানে রয়েছে সাতটি ক্যাম্পাসে – ৫০০০০ এর ও বেশি শিক্ষার্থী ৫০ টির ও বেশি সাব্জেক্টে পড়াশুনা চালিয়ে যাচ্ছেন । ফ্লোরিডা আটলান্টিক ইউনিভার্সিটি এর মুল এবং সবচেয়ে বড় ক্যাম্পাস ফ্লোরিডা তথা আমেরিকার অন্যতম দৃষ্টিনন্দন শহর বোকা রতনে অবস্থিত । এই ক্যম্পাসের ২ মাইল দূরে বিশাল আটলান্টিক মহাসাগর আর ২৫ মাইল দূরত্বে Fort Lauder-dale “Hollywood International Airport” এবং “Palm Beach International Airport” । মায়ামি শহর মাত্র ৪৫ মাইল দূরে অবস্থিত ।

  • কোন কোন সাবজেক্ট পড়া যাবে ?

ইঞ্জিনিয়ারিং, ন্যাচারাল সাইন্স, হেলথ সাইন্স, মাথেম্যাটিকস, বিজনেস আমরা বাংলাদেশিরা যেসব সাবজেক্ট পড়তে চাই, মোটামুটি সবই আছে। আরো জানতে নিচের লিংক থেকে ঢুঁ মেরে আসতে পারেন।
http://www.fau.edu/graduate/programs/index.php
আন্ডারগ্র্যাড, মাস্টার্স, পিএইচডি, সার্টিফিকেট সবই পড়া যাবে। পিএইচডি আর মাস্টার্সে ইউনিভার্সিটি সাধারণত ফান্ড দিয়ে থাকে। প্রফেসর রাজি থাকলে সম্ভব। আরএ থেকে টিএ পাবার সম্ভবনা বেশি এখানে ।

Florida-Atlantic-University

  • আবেদন করতে কি কি লাগবে ?

Application Fee: $30
Transcripts Under-grad/Masters CGPA: Minimum 3.00 

পূর্ববর্তী সকল ডিগ্রির একটা করে NACEES listed ইভালুয়েটর দিয়ে ইভালুয়েট করতে হবে ।তবে, গ্রাজুয়েট কলেজে ইভালুয়েশনের ব্যবস্থা আছে ফ্রি তে , সেক্ষেত্রে আগেই আগের স্কুলের অফিশিয়াল ট্রান্সক্রিপ্ট পাঠাতে হবে সিল করা খামে । এখানে ডিরেক্ট পিএইচডি প্রোগ্রামে এপ্লাই করা যায় কিন্তু সেক্ষেত্রে এন্টিসিপেটেড প্রোফেসরের রেকমেন্ডশন লাগবে।

  • জি আর ই রিকোয়ারমেন্টস:

বাঁধা-ধরা কোন নিয়ম নাই, তবে ৩০৫+ থাকলে ফান্ড আশা করা যায়। 295-300 এর আশে পাশে থাকলে এডমিশন পাওয়া যাবে । এখানে এপ্লাই করছে কিন্তু এডমিশন পাইনাই খুব কম শুনেছি এমন প্রোফাইলে ।

  • আইএলটিএস স্কোর:

TOEFL 79 অথবা IELTS 6.5
Statement of Purpose
Recommendations Letter
Application Deadline: February 15

কিন্তু প্রফেসর চাইলে এমনও শুনেছি যে মে মাসেও এপ্লাই করে ফান্ড পাইছে । http://www.fau.edu/graduate/applyonline/ – এখান থেকে ডিটেইল ইনফো সহ এপ্লিকেশনের সব কিছু পাওয়া যাবে

 

Loading